রাতে মোটরসাইকেল রাইডের টিপস

বিনা ডেস্ক
দিনের তুলনায় রাতে মোটরসাইকেল চালানোতে ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। আর তা নিয়ে বাইকারদের প্রয়োজন কিছু সচেতনতার; যেগুলো অন্তত মানলে রাতের রাইড অনেকটাই নিরাপদ হতে পারে।
আনন্দদায়ক ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি ও সতর্কতা। দূরের রাস্তায় যাওয়ার আগে মোটরসাইকেলের ফিটনেস যাচাই করা খুবই জরুরি—চেক করতে হবে টায়ার, ব্রেক, হেডলাইট, অয়েল ও ক্লাচ। সঙ্গে নিতে হবে হেলমেট, গ্লাভস, রেইনকোট, ফার্স্ট-এইড কিট এবং প্রয়োজনীয় টুলকিট। মৌসুম ও আবহাওয়া মাথায় রেখে পরিকল্পনা করাও দরকার, কারণ রাস্তায় বৃষ্টি, কুয়াশা বা অতিরিক্ত গরম পরিস্থিতিকে কঠিন করে তুলতে পারে। এছাড়াও রিল্যাক্সেশনের জন্য দীর্ঘ যাত্রায় বিশ্রামেরও দরকার পড়ে, নাহলে ক্লান্তি থেকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
হেডলাইট এবং টেইললাইট অবশ্যই ভালো অবস্থায় থাকতে হবে। আলো যেন যথেষ্ট দূর পর্যন্ত যায় এবং অন্য চালকরাও সহজেই মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করতে পারে। অনেক সময় বাতি ময়লা হয়ে আলো ঝাপসা হয়ে যায়, তাই নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট, হেলমেট এবং মোটরসাইকেলে রিফ্লেক্টর স্টিকার ব্যবহার করা নিরাপত্তা বাড়ায়। এগুলোর সাহায্যে রাতের অন্ধকারেও চালককে অন্য গাড়ির চালকরা সহজে দেখে ফেলতে পারে, যা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাহায্য করে। গতির নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাতের ফাঁকা রাস্তায় অনেকে গতি বাড়িয়ে দেন, যা বিপজ্জনক হতে পারে। হঠাৎ কোনো গর্ত, পশু বা গাড়ি সামনে চলে এলে নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি থাকে।
রাতে বাইক চালানোর আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া উচিত। ক্লান্তি বা ঘুমের কারণে মনোযোগ হারিয়ে যাওয়া বড় ধরনের বিপদের কারণ হতে পারে। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার চালানো শ্রেয়। গুগল ম্যাপ বা নেভিগেশন ব্যবহার করলে অবশ্যই মোটরসাইকেলে এমনভাবে সেট করতে হবে যাতে চালনার সময় মনোযোগ না সরে যায়। ফোনে হেডফোন ব্যবহার না করাই ভালো। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য মোটরসাইকেলে টুলকিট, পাওয়ার ব্যাংক এবং একটি টর্চ রাখতে হবে। এটি যেকোনো হঠাৎ সমস্যায় কাজে আসবে।
মোটরসাইকেলে পর্যাপ্ত জ্বালানি রাখা, সম্ভব হলে টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা, সেফটি গিয়ারস ব্যবহার করা, ছোটখাটো স্পেয়ার পার্টস সাথে রাখা, অপরিচিত কাউকে লিফট না দেওয়া, অপরিচিত রাস্তায় না যাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে সতর্ক থাকা।